দ্বীনি জিজ্ঞাসা

ইসলামিক জিজ্ঞাসা

ইসলামিক জিজ্ঞাসা একটি ব্যাপক বিষয়, যেখানে ইসলামের বিভিন্ন দিক যেমন – আকীদা (বিশ্বাস), ইবাদত (উপাসনা), মু’আমালাত (লেনদেন), আখলাক (নৈতিকতা) ইত্যাদি সম্পর্কে প্রশ্ন করা হয় এবং শরীয়াহসম্মত উত্তর দেওয়া হয়।

আপনার যদি কোনো নির্দিষ্ট ইসলামিক জিজ্ঞাসা থাকে, তাহলে আপনি তা জিজ্ঞাসা করতে পারেন। আমি সাধ্যমত উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করব। সাধারণত মানুষ যে ধরনের ইসলামিক জিজ্ঞাসা করে থাকে তার কিছু উদাহরণ নিচে দেওয়া হলো: ইবাদত সংক্রান্ত:
নামাজ, রোজা, হজ, যাকাত বিষয়ক মাসআলা।
পবিত্রতা (ওযু, গোসল, তায়াম্মুম) সম্পর্কিত নিয়মাবলী।
বিভিন্ন দোয়া ও যিকির।
আকীদা ও বিশ্বাস সংক্রান্ত:
আল্লাহ, রাসূল, ফেরেশতা, কিতাব, তাকদীর, আখেরাত সম্পর্কে জিজ্ঞাসা।
শিরক, বিদ’আত সম্পর্কে প্রশ্ন।
মু’আমালাত (লেনদেন) সংক্রান্ত:
হালাল-হারাম বিষয়ক ব্যবসা-বাণিজ্য।
সুদ, ঘুষ, লেনদেনের বিভিন্ন মাসআলা।
উত্তরাধিকার আইন।
আখলাক ও নৈতিকতা সংক্রান্ত:
পারিবারিক জীবন, স্বামী-স্ত্রীর অধিকার ও কর্তব্য।
সামাজিক রীতিনীতি, প্রতিবেশীর হক।
পোশাক, পর্দা, সাজগোজ বিষয়ক মাসআলা।
অন্যান্য বিবিধ বিষয়:
স্বপ্ন ব্যাখ্যা।
বিভিন্ন আধুনিক সমস্যা ও তার ইসলামী সমাধান।
আপনি আপনার প্রশ্নটি পরিষ্কারভাবে লিখলে আমি উত্তর দিতে পারব।

2 thoughts on “দ্বীনি জিজ্ঞাসা

    1. হাফিজুল ইসলাম

      প্রশ্ন: শিয়া সম্প্রদায় কি মুসলিম?

      উত্তর:
      শিয়া সম্প্রদায়ের বিষয়টি ইসলামি বিদ্বানদের মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ আলোচনার বিষয়। বাস্তবতা হলো, “শিয়া” একটি বড় পরিচয় হলেও, এই নামের অন্তর্ভুক্ত বহু উপদল রয়েছে, যাদের বিশ্বাস ও কার্যক্রমে রয়েছে বিস্তর পার্থক্য।

      বিখ্যাত ও নির্ভরযোগ্য আলেমদের মতে, শিয়া সম্প্রদায়ের মধ্যে কিছু দল এমন রয়েছে, যারা মূল ইসলামী আকীদা—যেমন আল্লাহর একত্ব, নবী (সা.)-এর খাতমে নবুওয়াত, কুরআনের স্বীকৃতি এবং নামাজ-রোজার মতো ফরজ বিধান—মেনে চলে। এদেরকে ইসলামের গণ্ডির মধ্যে গণ্য করা হয়, যদিও তাদের কিছু ভুল আকীদা ও কর্মকাণ্ড রয়েছে যা সংশোধনযোগ্য।

      অন্যদিকে, কিছু শিয়া দল—যেমন “ঘুলাত” (অতিরঞ্জিত শিয়া), যারা সাহাবা (রা.)-দের প্রতি চরম বিদ্বেষ পোষণ করে কিংবা হযরত আলী (রা.)-কে নবুওয়াত বা উপাস্যরূপে মানে—এমন গোমরাহ ও কুফরী বিশ্বাস ধারণ করে যেগুলো ইসলামের মৌলিক ভিত্তির সঙ্গে সাংঘর্ষিক। এদেরকে ইসলামি বিশ্বাস অনুযায়ী মুসলিম বলা যায় না।

      তাই, সব শিয়াকে এক কথা বলে কাফের বলা যেমন চরম ভুল, তেমনি সকল শিয়াকে অন্ধভাবে মুসলিম মনে করাও সঠিক নয়। যাচাই করতে হয় তাদের বিশ্বাস ও কর্ম অনুযায়ী।

      উপসংহার:
      শিয়াদের মধ্যে কিছু দল ইসলামের সীমার মধ্যে রয়েছে, আবার কিছু দল ইসলামের গণ্ডি অতিক্রম করে গোমরাহিতে পড়েছে। আমাদের করণীয় হলো—আলেমদের বর্ণনা ও দলিলের আলোকে সত্যকে বুঝা, কাওকে অন্ধভাবে গালি না দেওয়া, আবার হক আকীদা ও সহীহ দীন থেকেও বিচ্যুতি না ঘটানো।

      Reply

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *